মহুয়া রায়চৌধুরীকে আমরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে চিনি কিন্তু তিনি যাত্রায় ও অভিনয় করেছেন।
এটি মহুয়া রায়চৌধুরীর একজন ভক্তের কাছ থেকে এসেছে
। 'আমি মহুয়া রায়চৌধুরীর
একনিষ্ঠ
ভক্ত
ছিলাম
আছি
এবং
থাকব।
সালটা
সম্ভবত
১৯৮৪,
আমি
ক্লাস
ফাইভে
পড়ি।
সেই
সময়
আমাদের
বেলঘরিয়া
য়
নামকরা
ক্লাবগুলো
ডিসেম্বর,
জানুয়ারি
মাসে
যাত্রা
অনুষ্ঠান
প্রদর্শন
করতো।
তিনদিন
অথবা
চারদিন
ধরে
বিখ্যাত
সব
যাত্রা
দল
যাত্রা
পালা
করতে
আসত।
বি
এ
সি
আর
মোহিনী
মিলের
মাঠ
জুড়ে
তাঁবু
পড়তো। ঐ বছর
হঠাৎ
দুই
দিন
যাত্রা
পালার
সাথে
তৃতীয়
দিন
একটি
চলচ্চিত্র
আদলে
নাটক
অনুষ্ঠিত
হবে।
পোষ্টারে
পোষ্টারে
ছয়লাপ।
নাটকের
নাম
"মৌচাক"।
শিল্পী
তালিকা
দেখে
তো
সেই
বয়সেই
আমার
চক্ষু
চড়কগাছ।
আর
সবথেকে
মনের
মধ্যে
তোলপাড়
করা
একটি
নাম
পোষ্টারে
দেখে,
যে
করেই
হোক
নাটকটি
দেখতে
হবে,
এই
দৃঢ়
প্রতিজ্ঞ
করে
বসলাম।
কারনঃ
নায়িকার
ভূমিকায়
অভিনয়
করবেন
মহুয়া
রায়চৌধুরী।
ব্যস্,
শেষ
পর্যন্ত
অনেক
ফন্দি,
অনেক
প্রতীজ্ঞা,
অনেক
বায়ানাক্কা
করে
নাটক
দেখার
সুযোগ
হলো।
সেই
কি
রোমাঞ্চ,
উত্তেজনা।
কি
না,
মহুয়া
রায়চৌধুরী
কে
লাইভ
দেখতে
পাবো।
সেই
নাটকে
মহুয়ার
বিপরীতে
নায়ক
হিসেবে
সুদর্শন
সন্তু
মুখার্জি
এবং
অন্যান্য
ভুমিকায়
মহুয়ার
স্বামী
তিলক
চক্রবর্তী
ও
কল্যানী
মন্ডল
অভিনয়
করেছিলেন।
নাটকটি
ভীষণ
মজাদার
ও
আনন্দদায়ক
ছিল।
আর
মহুয়ার
সেই
কি
প্রানবন্ত
অভিনয়।
ঠিক
যেমন
রূপালী
পর্দায়
দেখি।
সেই
বয়সেই
আমার
কাছে
একটা
দূর্লভ
স্বপ্ন
পূরণের
অভিজ্ঞতা
হল।
স্বপ্ন
টা
হল
মহুয়া
রায়চৌধুরী
কে
নিজের
চোখে
দেখা
সার্থক।
সত্যি
সিনেমা
প্রেমি
হয়ে
একটা
আফসোস
এখনও
হয়
যে,
দ্বিতীয়
মহুয়া
রায়চৌধুরী
বাংলা
চলচ্চিত্র
আর
পেল
না।
মাত্র
১২
বছরের
কর্ম
জীবনে
অবিস্মরণীয়
কিছু
সিনেমা
আমাদের
উপহার
দিয়ে
গেছেন,
যা
আজও
একাধিক
বার
দেখলেও
পুরোনো
হয়
না।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন